একটু ঠান্ডা লাগলেই নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে অবিরত পানি পড়া, সঙ্গে বিরক্তিকর মাথাব্যথা বা ভারী লাগা—এটাই সাইনোসাইটিসের সাধারণ উপসর্গ। অনেকেই বলে থাকেন, সাইনাসে সমস্যা আছে বা সাইনোসাইটিস আছে।
আমাদের মুখমণ্ডল ও মস্তিষ্কের হাড়ে কিছু ফাঁপা জায়গা বা বায়ুকুঠুরি আছে, যার নাম সাইনাস। এই ফাঁপা অংশটিতে প্রদাহের সৃষ্টি হলে তাকে সাইনোসাইটিস বলা হয়। মাথার হাড়ে চারটি সাইনাস রয়েছে। হাড়ের ওজন কমানো ও কণ্ঠস্বরকে ভারী এবং নাসিকাময় করা এদের কাজ।
কেন হয় সাইনোসাইটিস?
সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা নানা ধরনের জীবাণুর আক্রমণেই সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে। তবে নাকে আঘাত পাওয়া, অ্যালার্জি, ঠান্ডা লাগা, ধুলা-বালু, নাকের বাঁকা হাড়, নাকে টিউমার ইত্যাদি সমস্যা এ রোগের প্রকোপ বা ঝুঁকি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
উপসর্গগুলো কী?
নাক দিয়ে পানি পড়া বা হঠাৎ করে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সেই সঙ্গে তীব্র-দীর্ঘ ও বিরক্তিকর মাথাব্যথা তো রয়েছেই। সাইনাসগুলোর ঠিক ওপরেও চাপ চাপ ব্যথা থাকতে পারে। মাথা ভারী ভারী লাগে ও খাবারের স্বাদ বা রুচি নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় এর সঙ্গে জ্বর, গা ম্যাজ ম্যাজ করা এবং মানসিক অবসাদ যোগ হয়।
অনেকের এই সমস্যা বারবার, যেমন বছরে কয়েকবারই হতে দেখা যায়, বিশেষ করে যাঁরা বিভিন্ন অ্যালার্জিতে ভোগেন।
চিকিৎসা
যাঁদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে, তাঁরা রোগ এড়াতে কিছু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যেমন শুষ্ক, খোলামেলা এবং যথেষ্ট আলো-বাতাস আছে এমন ঘরে বা পরিবেশে বসবাস করুন।
ধূলা-বালি থেকে দূরে থাকুন। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগাবেন না। পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন এবং প্রচুর ভিটামিনযুক্ত খাবার খান।
সাইনাসের সমস্যা দেখা দিলে প্রাথমিক অবস্থায়ই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রোগটিকে দীর্ঘমেয়াদি হতে দেওয়া যাবে না।
এই সমস্যা থেকে আরাম পেতে সেই সঙ্গে নাকে বাষ্পের ভাপ নিতে পারেন, পরিমিত বিশ্রাম নিন।
ওষুধের মাধ্যমে ভালো না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী চিকিৎসা নিন। l
0 comments: